কেন এবং কিভাবে স্তন ঝুলে যায়?
কেন এবং কিভাবে স্তন ঝুলে যায়?
যেকোনো নারীর শরীরের সবচেয়ে বড় আকর্ষণের কেন্দ্র হলো তার স্তন। যদি সেই আকর্ষণ ভাল আকারে না হয় বা ঝুলে যায়, তিনি যতই সুন্দর বা ফর্সা হোন না কেন, কিছু একটা অনুপস্থিত মনে হয়। প্রতিটি মহিলা তার ইচ্ছা অনুযায়ী নিখুঁত স্তন চান। কিন্তু সবার পক্ষে তার সে চাওয়া পূরন হয় না। তাই তারা নিখুঁত স্তন পেতে বাজারে কৃত্রিম ডিভাইস, ক্রিম বা জেল ব্যবহার শুরু করে। কিন্তু এ ধরনের প্রয়োগ ভবিষ্যতে ক্ষতিকর প্রমাণিত হয়েছে।
বেশিরভাগ মহিলাই তাদের স্তনের সঠিক যত্ন নেন না। তাদের অনেক অভ্যাস তাদের স্তনের গঠনকে নষ্ট করে দিচ্ছে, যা তারা জানেন না। স্তন ঝুলে যাওয়া একটি প্রাকৃতিক প্রক্রিয়া, যা বয়স বা চিকিৎসার কারণে ঘটে এবং স্তন স্থিতিশীলতা এবং দৃঢ়তা হারায়। বেশীরভাগ স্তন 40 বছর বয়সের পরে, কখনও কখনও এমনকি আগেও ঝুলে যেতে শুরু করে। কিন্তু কখনও কখনও কিছু অভ্যাসের কারণে এটি দ্রুত বন্ধও হয়ে যায়।
কেন এবং কিভাবে স্তন ঝুলে যায়?
১.খারাপভাবে ফিটিং ব্রা:
সঠিক ফিটিং ব্রা পরা খুবই গুরুত্বপূর্ণ কারণ এটি আপনার স্তনকে সুশোভিত বা ঢিলা উভয়ই করে তুলতে পারে।
২.গর্ভাবস্থা:
যখন একজন মহিলা গর্ভবতী হন, তখন তার স্তন শিশুর জন্য দুধ তৈরি করতে শুরু করে যা স্তন ঢিলা হওয়ার একটি প্রধান কারণ।
৩.স্তন্যপান করান:
মা হওয়ার পর শরীরে অনেক প্রভাব পড়ে যার মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় স্তন এবং পেট। মা যখন তার শিশুকে বুকের দুধ খাওয়ান, তখন শিশুর স্বাস্থ্য অবশ্যই ভালো থাকে কিন্তু নারীর স্তন শিথিল হতে থাকে।
আরও দেখুন-
দৃঢ় এবং সুঠাম স্তন পাওয়া যায় যেভাবে।
৪.ঋতুস্রাব:
এক বছর মাসিক না হওয়াকে মেনোপজ বলে। মেনোপজ হল একজন মহিলার জীবনের এমন এক সময়, যখন তার প্রজনন কার্য বন্ধ হয়ে যায়। এটি স্তনকে আলগা করে দেয়।
৫.ব্যায়াম:
ব্যায়াম শরীরের জন্য খুবই উপকারী কিন্তু অতিরিক্ত ব্যায়াম স্তনের দৃঢ়তা কমানোর জন্য দায়ী হতে পারে।
৬.ওজন:
যখন আপনার ওজন বেশি বা কম হয়, তখন এটি সরাসরি আপনার স্তনকে প্রভাবিত করে।
৭.পুষ্টির ঘাটতি:
এটা দেখা গেছে যে যখন একজন মহিলার শরীরে সঠিক পরিমাণে পুষ্টির অভাব হয়, তখন ফলে স্তন ঝুলে যায়। অতিরিক্ত ধূমপান, অ্যালকোহল পান বা কার্বনেটেড পানীয় স্তনকে সঠিক পরিমাণে পুষ্টি সরবরাহ করে না, যার ফলে স্তন ঝুলে যেতে শুরু করে। স্তন ক্যান্সার বা যক্ষ্মা রোগের কারণে স্তন ঝুলে যায়।
আপনি যদি নিজের মধ্যে এই কারণগুলির কোনওটি খুঁজে পান, তবে চিন্তা করবেন না। খারাপ অভ্যাস ত্যাগ করার সাথে সাথে আপনার স্তনের অবস্থার উন্নতি হতে থাকবে।
পোস্টের নিয়মিত আপডেট পেতে আমাদের ‘‘Facebook Page” লাইক দিয়ে রাখুন।
আর্টিকেলটি ভালো লাগলে নিচের ফেসবুক, টুইটার বা গুগল প্লাসে
শেয়ার করে আপনার টাইমলাইনে রেখে দিন। এতক্ষণ সঙ্গে থাকার জন্য ধন্যবাদ।
No comments