রক্তব্যাধি কি | Blood disorder.
রক্তব্যাধি (Blood disorder) রক্তের সঙ্গে সম্পর্কিত রোগ বা যেকোন ধরনের অসুস্থতা। রক্তের জটিলতা দুই ধরনের হতে পারে অর্জিত বা সৃষ্ট এবং সহজাত বা জন্মগত।
প্রথম জটিলতাটি জীবাণু, জীবনযাপন প্রণালী এবং ব্যক্তির অভ্যাসের কারণে তৈরি হয়। বিভিন্ন পরিবেশে বসবাসকারী ব্যক্তির উপর্যুক্ত শারীরিক কারণেও এই জটিলতা সৃষ্টি হতে পারে।
দ্বিতীয় প্রকারের জটিলতাটি জন্মগ্রহণের সময় জীনজনিত কারণে শিশুর দেহে সৃষ্টি হতে পারে। রক্তের বদলে যাওয়া চিত্রসহ সৃষ্ট রক্তের জটিলতাকে রক্তের সম্পূর্ণ গণনা (complete blood count/CBC) বলা হয়, যা দেহের যেকোন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের সংক্রমণের কারণে তৈরি হতে পারে। ব্যাকটেরিয়া এবং ভাইরাসজনিত সংক্রমণের ফলে অনেক সময় রক্তক্ষরণ ঘটে। আবার অ্যানিমিয়া বা রক্তশূন্যতা (হিমোগ্লোবিনের নিম্নমাত্রা) সাধারণত ভাইরাসজনিত সংক্রমণ এবং অপুষ্টি উভয় কারণেই সৃষ্টি হতে পারে। মানবদেহে রক্তের জটিলতার মধ্যে সবচেয়ে মারাত্মক হলো সহজাত জটিলতা বা জন্মগত জটিলতা। সহজাত বা জন্মগত জটিলতার বিভিন্ন প্রকারের মধ্যে রয়েছে হিমোগ্লোবিনের কার্যকারিতার অস্বাভাবিকতা (হিমোগ্লোবিনোপ্যাথিস), রক্ত জমাটবাঁধার ত্রুটি বা হিমোফিলিয়া, ব্লাড ক্যানসার বা লিউকেমিয়া ইত্যাদি।
আরও দেখুন-
অর্জিত রক্তব্যাধির মধ্যে অন্যতম হলো রক্ত শূন্যতা। বাংলাদেশে রক্তশূন্যতা মূলত অপুষ্টিজনিত কারণে অধিকমাত্রায় পরিলক্ষিত হয়। এছাড়া শিশুদের একটি বিরাট অংশ বিভিন্ন পরজীবীর কারণে সৃষ্ট রোগে ভুগছে। এর মধ্যে অন্ত্রে কৃমির কারণে রক্তশূন্যতাসহ সৃষ্ট রোগ সচরাচর দেখা যায়। বাংলাদেশের মানুষের দেহে রক্তজটিলতা সংঘটনের কোন নির্ভরযোগ্য তথ্য পাওয়া যায় না। কিন্তু সংক্রমণ এবং অপুষ্টিজনিত কারণে সংঘটিত রক্তশূন্যতা একটি অত্যন্ত সাধারণ ঘটনা। পরীক্ষাকৃত প্রায় শতকরা ৫০ ভাগ রক্তনমুনা থেকে দেখা গিয়েছে যে, এতে হিমোগ্লোবিনের প্রকৃত মাত্রা থেকে বর্তমান মাত্রা কম (প্রায় ২-৩ শতাংশ)। সম্প্রতি এনজিও খাতের একটি প্রতিষ্ঠান রক্তের জটিলতা নির্ণয় এবং চিকিৎসাকার্যে উৎসাহ প্রকাশ করেছে। এই প্রতিষ্ঠানটি থ্যালাসেমিয়া (Thalassemia) রোগ নিয়ে কাজ করছে। দুই প্রকার প্রচ্ছন্ন জীনের মাধ্যমে সৃষ্ট এই রোগে আক্রান্ত অধিকাংশই শিশু। শিশু জন্মের অল্পকাল পরেই এই রোগের উপসর্গ প্রকাশ পায় এবং আক্রান্ত শিশুকে নিয়মিত লোহিত রক্তকণিকা প্রদান করতে হয়। লোহিত রক্তকণিকা প্রদানের এই ব্যবস্থা বর্তমানে বাংলাদেশে সহজলভ্য নয়।
পোস্টের নিয়মিত আপডেট পেতে আমাদের ‘‘Facebook Page” লাইক দিয়ে রাখুন।
আর্টিকেলটি ভালো লাগলে নিচের ফেসবুক, টুইটার বা গুগল প্লাসে
শেয়ার করে আপনার টাইমলাইনে রেখে দিন। এতক্ষণ সঙ্গে থাকার জন্য ধন্যবাদ।
Thanks Dear
ReplyDelete