Paracetamol ঔষধটির কাজ, সেবন-বিধি ও মাত্রা।
Paracetamol ঔষধটির কাজ, সেবন-বিধি ও মাত্রা।
প্যারাসিটামল অধিকতর নিরাপদ ঔষধ। ইহা কার্যকরী এনালজেসিক ও এন্টিপাইরেটিক হিসাবে গৃহীত হইয়া থাকে। ইহা বেদনানাশক (analgesic) ও জ্বর নিবারণের (antipyretic) কার্যকারিতা বহুলাংশে এসপিরিনের মত।
যে সকল রোগী Aspirin সহ্য করিতে পারে না, তাহাদের জন্য বিকল্প ঔষধ- Paracetamol (প্যারাসিটামল)। সাধারণতঃ Paracetamol কোন প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে না। তবে প্যারাসিটামল এসপিরিনের মত ততটা ফলদায়ক নহে। দাঁত ব্যথা, শীরপীড়া, স্ত্রীলোকদের ঋতুজনিত ব্যথা বা অপর্যাপ্ত ঋতুর জন্য বেদনা, পেশীর যন্ত্রণা এবং স্নায়ুর ব্যথায় অত্যন্ত ফলপ্রসু। জ্বর উপশম, ও বেদনানাশক গুণের জন্য সকল বয়সের রোগীদের নিকট নিরাপদ। শিশুদের টনসিলের ব্যথায় বা ঠাণ্ডায় শ্বাসনালীতে জীবাণুর আক্রমণে জ্বর ও ব্যথা কমানোর ক্ষেত্রে Sy Paracetamol ভাল কাজ করে। কর্ণ প্রদাহ, ব্রঙ্কাইটিস, ফেরেনজাইটিস বা রোগ প্রতিষেধক টীকার জ্বরে প্যারাসিটামল ভাল কাজ করে। তবে ভাইরাস আক্রমণে সৃষ্ট রোগ এন্টিবায়েটিক বা সালফোনোমাইডের সঙ্গে একযোগে ব্যবহার করা যায়। তবে ক্রমাগত ১০ দিনের বেশী ব্যবহার করা বিপদজ্জনক হইতে পারে।
আরও দেখুন-
সেবন বিধি ও মাত্রা:
সিরাপ-শিশু:
১বৎসর পর্যন্তঃ ১/২ চামচ করে দিনে ৩/৪ বার।
১-৫ বৎসরঃ ১-২ চামচ করে দিনে ৩/৪ বার।
৬-১২ বৎসরঃ ২-৪ চামচ করে দিনে ৩/৪ বার।
প্রাপ্ত বয়স্কঃ ৪-৮ চামচ করে দিনে ৩/৪ বার।
বড়িঃ
প্রাপ্ত বয়স্কঃ ১-২ টি বড়ি ৪-৬ ঘন্টা পর পর।
কিন্তু ২৪ ঘন্টায় ৮টির বেশী সেবন সমীচিন নয়।
পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়াঃ নেই বললেই চলে। তবে কোন কোন ক্ষেত্রে বমি বমি ভাব অথবা বমি, উপরের পেটে অস্বস্তিকর অনুভূতি এবং চামড়ায় এলার্জি দেখা দিতে পারে ।
সাবধানতাঃ
লিভার ও কিডনীর কাজ সম্পাদনে গরমিলের ক্ষেত্রে প্যারাসিটামল সাবধানতার সাথে ব্যবহার করা শ্রেয়।
উপস্থাপনঃ প্রতিটি বড়িতে আছে প্যারাসিটামল বিপি ৫০০ মিঃ গ্রাঃ
প্রতি ৫ মিঃ লিঃ এ আছে প্যারাসিটামল বি পি ১২০ মিঃ গ্রাঃ
[ রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ঔষধ সেবন করুন।]
পোস্টের নিয়মিত আপডেট পেতে আমাদের ‘‘Facebook Page” লাইক দিয়ে রাখুন।
আর্টিকেলটি ভালো লাগলে নিচের ফেসবুক, টুইটার বা গুগল প্লাসে
শেয়ার করে আপনার টাইমলাইনে রেখে দিন। এতক্ষণ সঙ্গে থাকার জন্য ধন্যবাদ।
No comments