Dear visitor, welcome to my nabapharmacy health related personal blog. Take the medicine with the advice of a registered doctor - thank you.

সিনকারা সিরাপ এর কাজ ও খাওয়ার নিয়ম- CINKARA SYRUP - Naba Pharmacy.

Header Ads

সিনকারা সিরাপ এর কাজ ও খাওয়ার নিয়ম- CINKARA SYRUP

 

সিনকারা সিরাপ এর কাজ ও খাওয়ার নিয়ম- CINKARA SYRUP


শরীর দুর্বল লাগে, কোন কাজ করতে ভালো লাগেনা, শুধু ঘুমের ভাব পায়, যে কোনো কিছু খাবারে স্বাদ পায়না-এ রকম অবস্থা যাদের হয়, তাদের এই সিনকারা সিরাপটি খুব কাজে আসবে কারণ একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে যাদের মুখে কোন

 

খাবারের স্বাদ (Taste) পায় না তারা এই সিনকারা সিরাপটি খাওয়ার কিছু দিন পর তাদের মুখে আবার স্বাদ এবং রুচি আগের থেকেও বৃদ্ধি পেয়েছে। সিনকারা সিরাপটি সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক জিনিস দিয়ে তৈরি এতে কোন প্রকার ভেজাল জিনিস নেই। সিনকারা সিরাপের আরও অনেক গুনাগুন রয়েছে, যা এই পোস্টটিতে আলোচনা করা হয়েছে।

সিনকারা সিরাপ কি?

সিনকারা সিরাপ হলো হার্বাল পদ্ধতিতে তৈরি একটি সিরাপ, যা মানবদেহের ভিটামিন ঘাটতিজনিত সমস্যাগুলো দূর করে থাকে। যেমন – দুর্বলতা, অলসতা, নিদ্রাহীনতা, খাবার রুচি না থাকা, পুষ্টির অভাব এই ধরনের রোগের থেকে মুক্তি পেতে সিনকারা সিরাপ খাওয়া হয়। সিনকারা সিরাপ বিভিন্ন ঔষধি গাছ দিয়ে তৈরি করা হয়। যে কোন ঋতুতে এই সিরাপ খাওয়া যায়। পরিবারের যে কেউ এই ঔষধটি সেবন করতে পারবে। শরীরের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রয়োজনীয় প্রাকৃতিক খনিজ, ট্রেস উপাদান ও প্রাকৃতিক ভিটামিন সিনকারা সিরাপ থেকে পাওয়া যায়। এই ওষুধটি বহু বছর ধরে শক্তির যোগান, উদ্দীপনা এবং স্নায়ু ও পেশীর বলবর্ধক হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এমন অনেক মানুষ রয়েছেন যাদের শরীরে কোন রকম রোগ না থাকার পরেও তাদের শরীল খুব দুর্বল দুর্বল ভাব এবং অলসতা এইসব রোগ দূর করতে ব্যাপক কার্যকরী ওষুধ।

সিনকারা সিরাপ-এর উপাদান:

প্রতি ৫ মিলি সিরাপে আছে (জলীয় নির্যাস আকারে)

🥕গাজর ২০০ মিগ্রা
🍈আমলকী ১০০ মিগ্রা,
🥓আগর ৫০ মিগ্রা,
🥜বড় এলাচ ৫০ মিগ্রা,
🥘ধনিয়া ৫০ মিগ্রা,
🥘নাগরমুথা ৫০ মিগ্রা,
🍡ছোট এলাচ ৫০ মিগ্রা,
🍲লবঙ্গ ৫০ মিগ্রা,
🍗জটামাংসী ৫০ মিগ্রা,
🥨একাঙ্গি ৫০ মিগ্রা,
🌵দারচিনি ৫০ মিগ্রা,
🌹গোলাপ ৫০ মিগ্রা,
🍱শ্বেত চন্দন ৫০ মিগ্রা,
🍃তুলসী ৫০ মিগ্রা এবং (শৈলজ) ৫০ মিগ্রা।

 

সিনকারা সিরাপের উপকারিতা:

নিচে সিনকারা সিরাপের উপকারিতাগুলো উল্লেখ করা হলো-

সাধারণ দুর্বলতা: 

সাধারণ দূর্বলতাটা আবার কি? আপনার শরিলে কি মাঝে মাঝেই সাধারণ দুর্বলতা মনে হয়? নানা রকমের টেনশন করায় এবং পুষ্টিকর খাদ্যের অভাবে, বিভিন্ন ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কারণে, ঘুমের অভাব এবং বেশি ঘুমের ফলে মানুষের শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে একেই সাধারণ দুর্বলতা বলা হয়ে থাকে। আবার বড়োসড়ো কোন অসুখের কারণে, যেমন – কিডনি, লিভার, মাংসপেশিতে ইত্যাদি কোন রোগ হলে শরীর ধীরে ধীরে দুর্বল হয়ে যাবে তখন কিন্তু আপনাদের কাছে আর কোন উপায় থাকবেনা ডাক্তারের কাছে যাওয়া ছাড়া। শরীর দুর্বল এর জন্য যদি সিনকারা সিরাপ খাওয়ার কথা ভেবে থাকেন তাহলে তার আগে অবশ্যই আপনাকে ভালোভাবে জানতে হবে শরীর দুর্বল হওয়ার কারণ গুলো কি? আমরা যে কারণগুলো বলা হয়েছে সেগুলো যদি আপনার হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনি এই সিরাপটি নির্দ্বিধায় খেতে পারবেন।

রোগ আরোগ্যকালীন দুর্বলতা: 

রোগ আরোগ্যকালীন দুর্বলতা বলতে বুঝায় শরীরে কোন প্রকার রোগ না থাকার পরেও শরীর থেকে দুর্বলতা দূর হচ্ছেই না, কোন কাজ কাজ করার ইচ্ছা থাকে না। এবং নিয়ম করে চলার পরেও কোনভাবেই দুর্বলতা কমছেই না তখন আপনি অবশ্যই সিনকারা সিরাপের সাহায্য নিতে পারেন আপনার আগের সেই শক্তি ফিরে পেতে। শীত গ্রীস্ম ও বর্ষা বছরের যেকোনো ঋতুতেই এই ওষুধ খেতে পারবেন এটি যে কেউই খেতে পারবে। বয়সের কোন নির্দেশিকা নেই তবে খুব ছোট বাচ্চাদের এই ওষুধ না খাওয়াই ভালো।

স্নায়বিক দুর্বলতা: স্নায়বিক দুর্বলতা খুব সাংঘাতিক রোগ না হলেও এই রোগ থেকে ধীরে ধীরে বড়োসড়ো সাংঘাতিক রোগ হওয়ার সম্ভাবনা আছে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে স্নায়বিক দুর্বলতা রোগের লক্ষণ গুলো কি কি, এই রোগ থেকে মুক্তি পাওয়ার সহজ উপায় কি? নিচে স্নায়বিক দুর্বলতার লক্ষণগলো উল্লেখ করা হলো-

  • কোন বিষয়ে মানসিক সংযোগ করতে না পারা
  • কোন কাজ সঠিকভাবে না করতে পারা
  • শারীরিক ও মানসিক অবসাদ
  • শারীরিক দুর্বলতা
  • মাথায় ব্যথা
  • মস্তকের সামনে পিছনে ব্যথা করা
  • বুক ধড়ফড় করা
  • দৃষ্টিশক্তি ও শ্রবণশক্তি কমে যাওয়া
  • পেট ফাঁপা
  • মুখের রুচি কমে যাওয়া
  • হাত পা ঝিনঝিন করা
  • স্মৃতিশক্তি কমে যাওয়া

সাধারণত এসব সমস্যা স্নায়বিক দুর্বলতার কারণে হয়ে থাকে। অন্যথায় অন্য কোন রোগের জন্যও এই সমস্যাগুলো হতে পারে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে স্নায়বিক দুর্বলতার কারণ এই সমস্যাগুলো হতে পারে।

 

যৌন শক্তি বৃদ্ধিতে সেবন করুন  ই-ক্যাপ

 

মেধা ও স্মৃতিশক্তি হ্রাস: 

 আমাদের মধ্যে অনেক মানুষ রয়েছে যাদের যেকোনো ঘটনা কিংবা কোনো কথা ভুলে যায় মনে থাকে না এবং ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াশোনা মনে থাকে না, কেউ কোন দরকারি কথা বললে অনেক সময় সেই কথাগুলো ভুলে যায়। এই ধরনের মানুষের সবাই ভোলা মন বোকা ইত্যাদি বলে থাকে তখন কিন্তু তাদের খারাপ লাগবেই । যাদের মেধা ও স্মৃতিশক্তি কম বা কমে গিয়েছে তারা সিনকারা সিরাপ টি খেতে পারেন, এতে আপনার মেধা ও স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পাবে।

অপুষ্টি: যে সকল মানুষেরা অপুষ্টিতে ভুগছে তারা সকলেই সিনকারা সিরাপ সেবন করতে পারেন। এতে আপনাদের অপুষ্টির কারণে বিভিন্ন সমস্যা গুলি কমে যাবে। অপুষ্টির সমস্যা তে সবথেকে বেশি ভোগেন বয়স্ক মানুষ এবং শিশুরা।

অপুষ্টির লক্ষণ ও কারণ গুলি জেনে নিন:

অপুষ্টির লক্ষণ:

  • খাবার খেতে ইচ্ছে না করা, খিদে না লাগা।
  • শরিলে অত্যাধিক ক্লান্তিভাব আশা এবং শুয়ে থাকতে ইচ্ছে করা।
  • কোন কিছুতে মনঃসংযোগ করতে অসুবিধা হয়।
  • সব সময় শরিলে ঠান্ডা লাগে।
  • ওজন কমে যাওয়া বিশেষ করে হাত পায়ের মাংস কমে যায়।
  • হাতে পায়ে শরীরের যে কোন স্থানে কেটে যায় তাহলে সেই ক্ষত ঠিক হতে অনেক সময় নেয়।
  • যে কোন অসুখ-বিসুখ যদি হয় তাহলে সেই ব্যাধি থেকে সুস্থ হতে অনেক সময় নেয়।
  • খুব পরিশ্রম এর কাজ করলে কিংবা ব্যায়াম করার পরে আমাদের শরীরের হাত-পায়ের পেশী গুলো দুর্বল হয়ে পড়ে, কিন্তু বিশ্রামের পরে তা আবার ঠিক হয়ে যায়। কিন্তু পুষ্টির অভাবে পেশির দুর্বলতা থেকেই যায়।
  • অনেকেই আছেন শরীর স্বাস্থ্য ভালো না হওয়ার পরেও তাদের পেটে ভুরির মতন ফুলে যায়, এই সমস্যাটির ছোটদের ক্ষেত্রে বেশি দেখা যায়।
  • বসে থাকলে দাঁড়িয়ে থাকলে এমন কোন কাজ করলে, একটু দুশ্চিন্তা করলেই মাথা ঘোরানো।
  • কোনো কাজেই পর্যাপ্ত মত শক্তি না থাকা, শরীরে বল শক্তি না পাওয়া।
  • সব সময় মন বিষণ্ণতা হয়ে থাকে।
  • শরীরের ত্বক বিশেষ করে হাত-পায়ের ত্বক শুষ্ক হয়ে থাকে।
  • অপুষ্টি আরো একটি লক্ষণ হল দাঁতের ক্ষয় হওয়া।

অপুষ্টির কারণ:

1) ক্ষুধার অভাবের কারণে হয়

2) হজম সংক্রান্ত সমস্যা

3) মানসিক পরিস্থিতি ভালো না হলে

4) ক্রোনস ডিজিজ বা আলসারেটিভ কোলাইটিসের মতো রোগ খাদ্য হজম করার ক্ষেত্রে বা পুষ্টি গ্রহণে শারীরিক ক্ষমতাকে ব্যাহত করে

5) অপুষ্টির কারণে অ্যানোরেক্সিয়া হতে পারে, একটি খাওয়ার ব্যাধি।

6) মদ্যপান

7) স্তন্যপান

মাতৃদুগ্ধ নিঃসরন হ্রাস: অনেক মায়েদের বুকে পর্যাপ্ত পরিমাণে দুগ্ধ না থাকার কারণে তাদের সন্তানেরা ঠিকঠাকমতো দুগ্ধ পাইনা। সেই সব মায়েদের সিনকারা সিরাপ সেবন করা উচিত কারন সিনকারা সিরাপ দুগ্ধ বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।

পাকস্থলী ও লিভারের দুর্বল: আমাদের মধ্যে অনেকেই আছেন যারা কোন কিছু খাবার পর সেই খাবার হজম করতে পারেন না। তারপর গ্যাসটিক পেট ফাঁপা ইত্যাদি সমস্যা দেখা দেয় তার জন্য সিনকারা সিরাপ খেতে পারেন।

রক্তাল্পতা: রক্তাল্পতা কারণে অনেক মা-বোনদের মাসিকের সমস্যা হয়ে থাকে। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে সিনকারা সিরাপ খেতে পারেন। এবং যাদের দেহে রক্তের প্রবাহ কম বা রক্তচাপ কম তাদের জন্য সিনকারা সিরাপ খুব উপকারী।

অবসাদ: শরীরের ক্লান্তি ভাব, অবসাদ এই ধরনের রোগমুক্তির জন্য সিনকারা সিরাপ ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

ভিটামিন এ ও সি এর ঘাটতি:

সিনকারা সিরাপ ভিটামিন এ ও সি এর অভাব দূর করে।

সিনকারা সিরাপ খাওয়ার নিয়ম:

প্রাপ্ত বয়স্ক:

6 চা চামচ (30 মিলি) দৈনিক 2 বার সেব্য।

 

অপ্রাপ্ত বয়স্ক: 2 চা চামচ (10 মিলি) দৈনিক 2 বার অথবা রেজিস্টার্ড রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সেব্য।

 

শিশুদের মেধা ও স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধির জন্য 6 চা চামচ দৈনিক 2 বার সেবনে অত্যন্ত কার্যকরী ফলাফল পাওয়া যায়।

 

  Ref: starbijay.com,  recipegor.com

   ঔষধ কোম্পানী ও স্বাস্থ্যবিষয়ক বিভিন্ন ওয়েব সাইট।

 

[ রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ঔষধ সেবন করুন।]

পোস্টের নিয়মিত আপডেট পেতে আমাদের ‘‘Facebook Page”  লাইক দিয়ে রাখুন

 

আর্টিকেলটি ভালো লাগলে নিচের ফেসবুক, টুইটার বা গুগল প্লাসে

শেয়ার করে আপনার টাইমলাইনে রেখে দিন। এতক্ষণ সঙ্গে থাকার জন্য ধন্যবাদ।

No comments

Powered by Blogger.