শিশুদের সাথে কেমন আচরণ করবেন || How to treat children?
সুস্থ, সুন্দর ও সুশিক্ষায় শিক্ষিত আজকের মানব শিশুই আগামী দিনের ভবিষ্যত। শিশুরা নরম কাদা মাটির মত। ছোট বেলা থেকেই তাদের যে আচরণে বড় করা হবে অনেকটা সেভাবেই তারা আগামীর জন্য গড়ে উঠবে। তাই শিশুদের সাথে বড়রা কিভাবে আচরণ করছেন, সেটি একটি বড় প্রশ্ন।
আজকের পোস্টে এমন কিছু আচরণের কথা তুলে ধরা হলো যা বড়রা শিশুদের সাথে করবেন।
০-২ বছর বয়সী শিশুদের সাথে যে আচরণ করবেন:
(১) প্রথম যোগাযোগ হচ্ছে স্পর্শ, বাবুকে স্পর্শ করতে হবে। তাকে পরিস্কার হাতে আদর করতে হবে।
(২) মুখ ও দেহের অংগভঙ্গি বাচ্চারা ধরতে পারে। আপনার বলা কথা মুখের চাহনি দিয়েও বুঝতে হবে। শরীরী ভাষা ব্যবহার করতে হবে।
(৩) বাবুর লুলাবাই কথা গুলোর উত্তর দিন- তার সাথে ঠিকমত কথা বলার মাধ্যমে।
(৪) যদিও সে কথা বুঝতে পারে না তারপরও তার সাথে কথা বার্তা বললে তার ভাষা দক্ষতা বৃদ্ধি পাবে।
৩-৫ বছর বয়সী শিশুদের সাথে যে আচরণ করবেন:
(১) যখনই সম্ভব আপনার শিশুকে সম্পূর্ণ মনোযোগ প্রদান করুন।
(২) আপনার নিজের কথা বলার স্টাইল ও বডি ল্যাঙ্গুয়েজ এর দিকে লক্ষ্য রাখুন। সেখান থেকেই বাবু শিখবে।
(৩) কথার সাথে আবেগ বুঝতে শিশুকে সাহায্য করুন
(৪) বাচ্চার রাগ, আবেগ নিয়ন্ত্রণ শিক্ষায় তাকে সাহায্য করুন ধৈর্যের সাথে।
(৪) এ বছর বয়সী শিশুর প্রশ্নের উত্তর দিন সহজ ভাষায়।
(৫) তার নিজের জিনিস পছন্দ করার ক্ষেত্রে সীমিত পর্যায়ে চয়েস দিন। যেমন-“২টা থেকে ১টা বেছে নাও” ধরনের।
৬-১১ বছর বয়সী শিশুদের সাথে যে আচরণ করবেন:
(১) কথা বলার সময় বের করুন।
(২) তার সাথে কথা বলার সময় কিছুটা সম্মান বজায় রেখে কথা বলুন। সে শিখছে, এটা সবসময় মাথায় রাখতে হবে।
(৩) তার সাথে কথা বলার সময় সে যদি উত্তর না-ও দেয় কথা বলা চালু রাখুন, এলোমেলো প্রশ্ন না করে নির্দিষ্ট ভাবে প্রশ্ন করুন।
(৪) তার কথা শুনুন, শুরুতেই তর্ক না করে আগে শুনুন সে কি বলতে চায়, তারপর তার বুঝার মত করে আপনার মতামত প্রকাশ করুন।
(৫) তাকে পরিবারের রীতিনীতি বুঝার জন্য সময় দিন। হুট করে কিছু চাপাতে যাবেন না।
(৬) যদি কিছু ভুল বলেন বা করেন তা স্বীকার করুন এবং হাসুন আপনার বাচ্চার সাথে।
আরও দেখুন-
শিশুদের খেতে না চাওয়ার কারণ ও প্রতিকার।
১২-১৮ বছর বয়সী শিশু শিশুদের সাথে যে আচরণ করবেন:
(১) আপনার শিশুকে নিয়ে কথা না বলে তার সাথে কথা বলুন। তার মতামতের গুরুত্ব দিন।
(২) তার সাথে কথা বলার সুযোগ তৈরি করুন, যেমনঃ ফুটবল, ক্রিকেট, নতুন গাড়ি, টিভি অ্যাড, ভ্রমন, বন্ধু-বান্ধবি, এই বয়সে আপনি কেমন ছিলেন ইত্যাদি।
(৩) তার প্রাইভেসিকে গুরুত্ব দিন এবং তার বিশ্বাস বজায় রাখুন।
(৪) যদি আপনি তাকে বুঝাতে পারেন তার উপর আপনার বিশ্বাস আছে, এটা তাকে আপনার উপর আস্থা রাখতে সাহায্য করবে।
(৫) নিজের মত হউন। এখন আপনার বাচ্চা আপনার নিজস্বতাকে সম্মান দেবার মত যথেষ্ট বড় হয়েছে।
সূত্র: ইন্টারনেট।
পোস্টের নিয়মিত আপডেট পেতে আমাদের ‘‘Facebook Page” লাইক দিয়ে রাখুন।
আর্টিকেলটি ভালো লাগলে নিচের ফেসবুক, টুইটার বা গুগল প্লাসে
শেয়ার করে আপনার টাইমলাইনে রেখে দিন। এতক্ষণ সঙ্গে থাকার জন্য ধন্যবাদ।
No comments